স্টাফ রিপোর্টার,বাঘারপাড়া (যশোর): উন্নত জীবন ও বহু টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে বিউটি পার্লারে কাজের কথা বলে যশোরের বাঘারপাড়ার এক যুবতীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ভারত থেকে পালিয়ে এসে শুক্রবার রাতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেছেন ওই যুবতী।
পুলিশ এজাহারভুক্ত ৩ আসামীকেই আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। শনিবার থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত মানিক মোল্লার ছেলে শহর আলী (৫৫), তার স্ত্রী শুকজান বেগম (৪৫) ও মেয়ে শারমিন আক্তার (২৪)।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামী শহর আলী আমার প্রতিবেশী। তার মেয়ে শারমিন আক্তার ২ বছর ধরে ভারতের মেদিনিপুর শহরে বসবাস করছিলেন। সেখানে বিউটি পার্লারের কাজের কথা বলে গত বছরের ১৭ জুলাই ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে আসামী শারমিন আক্তারের কাছে পৌছে দেন শহর আলী। কিছু দিন তার (শারমিন) বাসায় থাকার পর বিউটি পার্লারে কাজ না দিয়ে স্থানীয় পতিতালয়ে জোর করে পতিতাবৃত্তি করানো হয়। পরে ৬ মাস সেখানে থাকার পর স্থানীয় এক ব্যক্তির সহায়তায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে আসামী শারমিন আক্তারের(শুক্রবার) ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার খবর পায় পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে বাঘারপাড়া এলাকায় পৌছালে তাকেসহ অন্য দুই আসামীকে আটক করা হয়। আসামীরা সম্পর্কে মা, বাবা ও মেয়ে। শনিবার তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।